আসন-মেডিটেশন হচ্ছে মনের ব্যায়াম। নীরবে বসে সুনির্দিষ্ট অনুশীলন বাড়ায় মনোযোগ, সচেতনতা ও সৃজনশীলতা। মনের জট যায় খুলে। সৃষ্টি হয় আত্মবিশ্বাস ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। হতাশা ও নেতিবাচকতা দূর হয়। প্রশান্তি ও সুখানুভূতি বাড়ানোর পাশাপাশি ঘটে অন্তর্জাগৃতি।
আসন-মেডিটেশন হলো সচেতনভাবে দেহ মন এবং মস্তিষ্ককে শিথিল করার আধুনিক বৈজ্ঞানিক এবং সহজ প্রক্রিয়া। মেডিটেশনের মাধ্যমে আমরা আমাদের শরীরকে শিথিল এবং মন ও মস্তিককে প্রশান্ত করতে পারি।
আমরা জানি যে,মেডিটেশন থেকে ডজন খানেক উপাকারিতা আসে এবং প্রত্যেকেই এটা করে থাকে। অন লাইনে অথবা বইয়ে নানা রকম তথ্য পাওয়া যায়, মেডিটেশন করার পদ্ধতি ও কৌশল এবং কিছু বাধা নিষেদ র্যে ছে,সেগুলি মেডিটেশন করার সময় আমাদের লক্ষ্য রাখ।আমরা এখান থেকে পছন্দ করতে পারি কোন শরীরের জন্য উপযোগী।
তাই আমাদের শ্লোগান হউক, “সুস্থ দেহ,প্রশান্ত মন,কর্ম ব্যস্ত সুখী জীবন”।এ প্রতিবেদন আপনাকে ভীশ্নভাবে সাহায্য করবে।মেডিটেশন অনুশীলন করার মাধ্যমে আমরা শরীরের চালিকা শক্তি বাড়াতে পারি।হাজার হাজার মেডিটেশন আছে, যা নিয়ে আমাদের এ বারের আয়োজন। চলুন জানি প্রাণায়াম কি? প্রানের(শ্বাসবায়ুর)আয়াম বা বিস্তরনকে বলা হয় প্রাণায়াম।প্রাণায়াম অভ্যাসে প্রাণ শক্তি ও জীবনী শক্তি বৃদ্ধি পায়। এ ই প্রাণামের সাহায্যে ই সাপ,ব্যাঙ প্রভৃতি প্রাণী শিতের তিন মাস খাদ্য না খেয়ে ঘুমিয়ে থাকে।প্রানায়ামের সময় বায়ুর অক্রিজেন শরীরে যথেষ্ট প্রবেশ করে। এ জন্য সাধারণ মানুষ সহজ কয়েকটি প্রাণায়াম অনুস্থান করে রোগ প্রতিষেধক ক্ষমতা ও জীবনি শক্তি বর্ধি্ত করে নিতে পারে।এ ই সহজ প্রাণায়াম অনুস্থানে কোন ক্রুটি থাকলেও কোন প্রকার অনিষ্টের ভয় নেই। প্রাণায়ামও আসন একে অপরেরে পরি পূরক একটি ছাড়া অন্যটি কল্পনা করা যায় না। তাহলে এ বার চলুন আসন কি জানি? আসন মানে একটা পদ্ধতির নাম যে ভাবে বসলে খুব গভীর চিন্তা করার সময় ও মস্তিকের উপর খুব একটা চাপ পড়ার ভয় থাকে না-এ মন ভঙ্গীকে ই বলা হচ্ছে সুখে উপবেশন ।সাত টি ধ্যানাসন আমাদের শরীরের জন্য খুব ই উপকারি বলে মনে করেন শ রীর বিজ্ঞানীরা । প্রাণায়ামের তিনটি স্তর-১. পূরক-শ্বাস গ্রহণ ২. কুম্ভক-শ্বাস ধারণ বা শ্বাস বন্ধ করে থাকা,ও ৩. রেচক-শ্বাস ত্যাগ। প্রাণায়ামের অভ্যাসের পূর্বে কিছু গুরুত্ব পূর্ণ নিয়মঃ
১।স্মতল,আলো –বাতাস পূর্ণ, দুর্গ ন্ধহীন স্থানে প্রাণায়াম অভ্যাস করতে হ্য।ভিজা, স্যাঁতস্যাঁতে ,অসমতল, ধোঁয়া, ধুলা উড়ছে,দুর্গন্ধময় স্থানে আদৌ প্রাণায়াম করা উচিত নয়।ধুপধুনা জ্বালিয়ে বায়ু সুগন্ধি করে নেওয়া উচিৎ। ২। চিৎকার –চেচামেচি,মশা-মাছি,কেরোসিনের ল্যাম্প জ্বেলে বদ্ধ ঘরে প্রাণায়াম করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। ৩।সিদ্ধাসন,ব্জ্রাসন বা পদ্মাস্নে বসে প্রাণায়াম ক্রবেন।কম্বল বা কুশনে বসে প্রাণায়াম করতে হবে। ৪।ইলাসটিক লাগানো প্যান্ট, স্যান্ড গেঞ্জি উত্তম পোশাক।পোশাক খুব শক্ত করে প্রা ঠিক ন্য,রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত হয়।মেয়েদের প্রাণায়াম করার জন্য বিশেষ পোশাক পাওয়া যায়।তা যোগার করতে না পারলে ইলাস্টিক দেওয়া প্যান্ট ও গেঞি ব্যবহার করবেন। ৫।শ্বাস সবসময় নাক দিয়ে নিতে হবে এতে শ্বাস ফিল্টার হয়ে ভেতরে যায়। ৬।প্রাণায়াম করার জন্য কমপক্ষে ৪-৫ ঘণ্টা আগে ভোজন করে নেওয়া উচিত। প্রাতকালে শৌচাদি থেকে নিবৃত হয়ে যোগাসন করার আগে যদি প্রাণায়াম করা হয় তবে সেটা সর্বোত্তম হয়।শুরুতে ৫-১০ মিনিট অভ্যাস করুন।তারপর ধীরেধীরে সময় বাড়ান। পেট পরিষ্কার না হলে রাতে ঘুমাবার আগে হরতকি চূর্ণ ও ত্রিফলা চূর্ণ গরম জলের সঙ্গে খান। ৭।প্রাণায়াম করার সময় মন শান্ত ও প্রসন্ন থাকা দরকার ।এমনিতে প্রাণায়াম দ্বারা মন শান্ত ও একাগ্র হয়ে ওঠে । ৮।যদি ক্লান্তি অনুভব ক্রেন তাহলে পরের প্রাণায়াম শুরু করার আগে ৫-৬ টি স্বাভাবিক দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে বিশ্রাম করে নেওয়া উচিত। ৯। গর্ভবতী মহিলা,ক্ষুদ্রার্থ ব্যাক্তি, জ্বরে আক্রান্ত এবং অজিতেন্দ্রীয় পুরুষের প্রাণায়াম করা উচিত নয়। রোগি ব্যাক্তির প্রাণায়ামের সঙ্গে দেওয়া সতর্কতা গুলি দেখে প্রাণায়াম করবে। ১০।দুধ,ঘি,ফলের সেবন লাভ জনক হয় এবং দীর্ঘ অভ্যাসের জন্য প্রাণায়ামের সঙ্গে পূর্ণ বক্ষ্রচর্য পালন করতে হয়। ১১।প্রাণায়ামে শ্বাস জোর করে আটকানো উচিত না। প্রাণায়াম করার জন্য শ্বাসকে শরীরের ভেতরে নেওয়াকে ‘পূরক’ বলে এবং শ্বাসকে শরীরের বাহিরে ছাড়াকে ‘রেচন’বলে।শ্বাসকে বাহিরে আটকে রাখাকে ‘বাহ্যকুম্ভন’ বলে। ১২।প্রাণায়ামের আগে বেশ কয়েকবার ওঁ এর লম্বা নাদপূর্ণ উচ্চারণ কড়া এবং ভগবানের ভজন করা উচিত। ১৩।প্রাণায়াম অভ্যাস করার সময় গ্রাবা,মেরুদন্ড,বক্ষ,কোমর সর্বদা সোজা রেখে বসুন। এতে প্রাণায়াম অভ্যাস ফলপ্রদ হয়। ১৪।প্রাণায়াম অভ্যাস ধীরে ধীরে কোন রকমে উতলা ভাব ছাড়া ধৈর্্যব সহকারে সতর্কতা সঙ্গে করা উচিত। ১৫।বই পড়ে কখনও নিজে নিজে প্রাণায়ামে অভ্যাস করার চেষ্টা করবেন না কোন ও গুরুর সান্নিধ্যে প্রাণায়াম, আসন, মুদ্রা ইত্যাদি শিক্ষা নেওয়া উচিত।
Latest posts by ইয়গা সঞ্জিতা(Yoga Sanjita) (see all)
- Develop Yoga Meditation on Yoga Day and make yourself a person with positive mentality and human qualities. - June 21, 2017
- Develop Yoga Meditation on Yoga Day and make yourself a person with positive mentality and human qualities. - June 20, 2017
- Yoga comes in health, it comes in peace - May 12, 2017